• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে খুশি আশুগঞ্জের ১৩৬ পরিবার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০২৩

আশিকুর রহমান মিঠু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত আরো ২০টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। “আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই স্লোগান নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেমিপাকা ঘর। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে আরো ১১৬টি পরিবারসহ উপজেলার মোট ১৩৬টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। ফলে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলার তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা।
আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে আশুগঞ্জ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই দুই শতাংশ জমির দলীলসহ এই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবে উপজেলা প্রশাসন।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খনুভাবে যাচাই বাচাই করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করে তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি সেমিপাকা ঘর ও দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়িত হচ্ছে। অন্যদিকে জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে হাসি ফুুটেছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে। বন্দোবস্তকৃত খাঁস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে সুবিধাভোগী ১৩৬ পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, উপজেলা আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৩৮টি, আড়াইসিধা ইউনিয়নে ৫৬টি, শরীফপুর ইউনিয়নে ৩৩টি, তালশহর ইউনিয়নে ৫টি ও তারুয়া ইউনিয়নে ৮টিসহ মোট ১৩৬টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পরিদর্শন করে জায়গা বরাদ্দ থেকে শুরু করে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে ভূমিহীন পরিবার ঘরে উঠে বসবাস করছে। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ, পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইফুল ইসরাম জানান, দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নকশা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৯ ফুট, প্রস্থ ২২ ফুটসহ সাড়ে ৮ ফুট উচ্চতা সম্বলিত একটি ঘরে বারান্দা, ৮ ফুট করে দু’টি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, একটি গোসল খানা, একটি লেট্রিনের ব্যবস্থা আছে। ঘরগুলো নির্মিত হয়েছে দেড় ফুট মাটির নিচে ১০ ইঞ্চি ইটের ওপর ৫ইঞ্চি দেয়ালের গাঁথুনি দিয়ে।
শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গুচ্ছগ্রাম গিয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরে বসবাসকারীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ঘরের সাথে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে তারা এখন ভীষণ খুশি। বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত সুবিধাভোগীরা। তাদের অনেকেরই কাছে এরকম একটি ঘরের মালিক হওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের এ স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা হওয়ায় খুশি দারিদ্রপীড়িত জনপদের ভূমিহীন ও গৃহহীনরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণ খুলে দোয়াও করছেন অনেকে। ঘর পেয়ে এসব পরিবার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন সুবিধাভোগীরা। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন। তাদের চোখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া উপজেলার শরীফপুর গ্রামের নুরু মিয়া, নারগিছ, আলী আজগর, জেসমিন আক্তার ও জুবেদা বেগমসহ অনেকেই প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেন, আমরা খুব খুশি যে প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, জমিসহ পাকা নতুন ঘর পাবো। আমরা শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads